জেলা শিল্পকলা একাডেমী
১মে ১৯৯৩ খ্রিঃ তারিখে শিল্পকলা একাডেমী রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণে ন্যস্ত হয়েছে।
জেলার সার্বিক শিল্প ও সংস্কৃতি ধারণ, লালন ও উন্নয়ন এবং বিকাশের লক্ষ্যে জেলা শিল্পকলা একাডেমী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। একাডেমীর সৃষ্টিলগ্ন থেকে জেলার সার্বিক সংসস্কৃতি প্রতিফলনে এর বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।
স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস, জাতীয় দিবস, জাতীয় শোক দিবস, বিজয় দিবস, একুশে ফেব্রুয়ারি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর উদযাপন্সহ বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে জেলা শিল্পকলা একাডেমী। ঐতিহাসিক পার্বত্য শান্তি চুক্তির পর এ জেলার শিল্পকলা একাডেমী। ঐতিহাসিক পার্বত্য শান্তি চুক্তির পর এ জেলার শিল্প সংস্কৃতি বিকাশে একাডমীকে আরও কার্যকর ও গতিশীল করার লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। তম্নধ্যে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের অর্থায়নে অত্যাধুনিক বাদ্যযন্ত্র সংযোজন ও অডিটোরিয়াম এর সংস্কার উল্লেখযোগ্য। নিয়মিত কার্যক্রমের বাইরেও ১৯৯৭-৯৮ অর্থবছরে একাডেমীর নেতৃত্বে শিল্পীগণ প্রথম দক্ষিণ এশীয় সঙ্গীত উৎসব- ১৯৯৭ এ অংশগ্রহণ, মিতসুবিশি গ্যালারী, এশীয় শিশুদের চিত্রকলা উৎসব এ চিত্রকর্ম প্রদর্শন করে বিশেষ প্রশংসা অর্জন করেছে। এছাড়া, চট্টগ্রাম টেলিভিশন উপকেন্দ্র ও বাংলাদেশ বেতার, রাঙ্গামাটি উপকেন্দ্রের মাধ্যমে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান করেছে। ঢাকায় অনুষ্ঠিত প্রথম সাফ গেমস এ অংশগ্রহণ করে এবং সম্প্রতি ভূটান সফরকারী বাংলাদেশের একটি সাংস্কৃতিক দলের শিল্পী হিসেবে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার একজন নৃত্যশিল্পী ভূটানে অনুষ্ঠান প্রদর্শন করে সুনাম অর্জন করেছেন।
প্রশিক্ষণ কার্যক্রম
প্রশিক্ষণ কার্যক্রম একাডেমীর একটি উল্লেখযোগ্য বিষয়। সংগীত, নৃত্য, তালযন্ত্র, ও নাটকের ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ দিয়ে নতুন প্রতিভা বিকাশে একাডেমী সচেষ্ট রয়েছে। একাডেমির সংগীত, নৃত্য ও তালযন্ত্র বিভাগে নিয়মিত প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালু রয়েছে। এর ফলে পদ্ধতিগতভাবে সংস্কৃতি চর্চা ও শিক্ষার মাধ্যমে জেলার ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সংস্কৃতি ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে উপকৃত হচ্ছে। শিক্ষা কার্যক্রম ছাড়া বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠান, সেমিনার, ওয়ার্কশপ, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, চারুকলা বিষয়ে কার্যক্রম বিদেশে প্রতিভাবান শিল্পী প্রেরণসহ শিল্পী প্রেরণসহ বিভিন্ন কর্মকান্ডের বাস্তবায়নে সচেষ্ট রয়েছে। সম্প্রতি দেশব্যাপী সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের প্রচার, প্রসার ও উন্নয়ন এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীতে গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন কর্মসূচি আওতায় রাঙ্গামাটি জেলা শিল্পকলা একাডেমী রাঙ্গামাটি জেলায় লুপ্ত ও লুপ্তপ্রায় লোক সংস্কৃতির বিষয়ে গবেষণাকর্মী সেমিনার এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বাস্তবায়ন করে প্রশংসিত হয়েছে।
জেলা শিল্পকলা একাডেমী ভবন নির্মাণ
রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের অর্থায়নে ২০০৭-২০০৮ এবং ২০০৮-২০০৯ অর্থ বছরে দুই পর্যায়ে ১০৮.৮০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে জেলা শিল্পকলা একাডেমীর দাপ্তরিক ও অডিটোরিয়াম ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।
জনবল
বর্তমানে জেলা শিল্পকলা একাডেমী, রাঙ্গামাটি দাপ্তরিক কার্যাদি সম্পাদনের জন্য একজন জেলা কালচারাল অফিসার, মাস্টার রোল ভিত্তিতে একজন পিয়ন-কাম-নাইটগার্ড, সংগীত, নৃত্য ও নাটক বিভাগে তিনজন প্রশিক্ষক নিয়োজিত রয়েছে। একাডেমীর সাংস্কৃতিক কার্যক্রম ও দাপ্তরিক অন্যান্য ব্যয় নির্বাহের জন্য প্রতিবছর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী, ঢাকা থেকে অনুদান হিসেবে ৩৫,০০০/- টাকা প্রদান করা হয়ে থাকে।