Wellcome to National Portal
রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮

জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের লীলাভূমি রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা। এর আয়তন ৬১১৬ বর্গকিলোমিটার , জনসংখ্যা ৫,২৫,১০০ জন এবং উপজেলা ১০ টি। এ উপজেলার মধ্যে তিনটি উপজেলার সাথে সদর উপজেলার সড়ক পথে যোগাযোগ ও বাকী ৬ টি উপজেলার সাথে জলপথে যোগাযোগ আছে। এসব এলাকায় জনগণের বসবাস বেশ কষ্টসাধ্য। কিন্তু এলাকার জনগণের উন্নয়ন এবং পশুসম্পদের বিকাশের স্বার্থে পশুসম্পদ বিভাগ , রাঙ্গামাটি তার নিজ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে যাচ্ছে। রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে জেলার পশু সম্পদ বিভাগ গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এ বিভাগ ১৯৯৩ সালের ১১ নভেম্বর তারিখে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের ব্যবস্থাপনায় ও নিয়ন্ত্রণে হস্থান্তরিত হয়েছে। এ বিভাগের ১০ টি উপজেলায় ১০ টি উপজেলা পশুসম্পদ অফিস , ০১ টি ইউনিয়নে অফিস/ চিকিৎসা কেন্দ্রের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। অত্র এলাকার পশুপাখির চিকিৎসা সেবা , টিকা প্রয়োগের মাধ্যমে প্রতিষেধক ব্যবস্থা জোড়দারকরণ, উন্নতপরামর্শ, পশু- পাখীর প্রভূত জাত উন্নয়ন, আধুনিক কারিগরী এবং লাগসই কলাকৌশল প্রশিক্ষণ প্রদান এবং বিভিন্ন সম্প্রসারণ কাজে পশুসম্পদ দপ্তর, রাঙ্গামাটি নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।
কার্যক্রমঃ গরু, ছাগল,শুকর, হান্স- মুরগী প্রভূত খামার স্থাপনের মাধ্যমে আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষ্যে অত্র দপ্তর সহায়তা প্রদান করে যাচ্ছে । জাতীয় পশুসম্পদ উদ্দ্যোক্তা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় গবাদি পশু মোটাতাজা করণ, ব্রয়লার ও লেয়ার মূরগী পালন, ছাগল পালন ও বকনা পালন প্রভূতি বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। তাছড়া পোল্ট্রি সেক্টর ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট এর অধীনে ব্রয়লার ও লেয়ার মূরগী পালনের প্রশিক্ষণ ও প্রদান করা হয়।


প্রতিবন্ধকতা ও সম্ভাবনাঃ
এসব কাজ করতে গিয়ে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার সম্মূখীন হতে হয় । যেমন- পর্যাপ্ত জনবলের অভাব, ১০ উপজেলার মধ্যে বেশিরভাগ উপজেলায় কোন কর্মকর্তা নেই, অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা,যানবাহন অভাব, আর্থিক সুযোগ সুবিধার অভাব ইত্যাদি । এ পার্বত্য জেলায় অনেক পাহাড় ও জলাশয় অনাবাদী অবস্থায় পড়ে আছে । জুরাছাড়ি, লংগদু, বাঘাইছড়ি, নানিয়ারচর, রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার সাপছড়ি এসব এলাকায় বিস্তির্ণ জলাশয় হাঁস পালনের জন্য বিশেষভাবে উপোযোগী। এসব জলাশয়কে নির্দিষ্ট প্রকল্পের অধীনে ব্যবহার করতে পারলে অধিকাংশ দরীদ্র জনগোষ্টীর আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে । সম্প্রতি রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদর উপজেলার সাপছড়ি, কুতুকছড়ি এবং মানিকছড়ি ইউনিয়নে ১০ লক্ষ্য টাকা ব্যয়ে দুগ্ধজাত গাভী খামার এলাকা হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে ।
জনবলঃ
মোট জনবল ১৩৪ জন, তন্মধ্যে ২৩ জন কর্মকর্তা এবং ১১১ জন কর্মচারী ।
পশুসম্পদ বিভাগের অধীনে আরো দুটি উপ-বিভাগ রয়েছে । সেগুলো হলঃ- হান্স- মুরগীর খামার ও শুকর খামার । নিম্নে এদের বিবরণ দেওয়া হলঃ
১) সরকারী হাস- মুরগীর খামারঃ বাংলাদেশের গ্রামে গঞ্জে প্রায় প্রতিটি পরিবারই হাস মুরগী পালন করে। তবে এর বেশীর ভাগই অনুন্নত দেশী জাতের । এ সমস্ত হাস মুরগীর উৎপাদন খমতা খুবই কম। অপরদিকে এ জনবহুল দেশে অপুষ্টি, দারিদ্র এবং বেকার সমস্যা খুবই প্রকট । বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে উন্নত জাতের হাঁস-পালন করে এ জনবহুল দেশের প্রাণীজ আমীষ জাতীয় খাদ্যের উৎপাদন ও সরবরাহ করা, অপুষ্টি দূর করা, বেকার সমস্যার সমাধান করা সম্ভব । এ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরকারী হাস-মুরগী খামার স্থাপিত হয়েছে । সরকারী হাস-মুরগী খামার হতে উৎসাহী খামারীগণের স্বল্পমূল্যে উন্নত জাতের মুরগী, মুরগীর বাচ্চা, উর্বর ডিম সংগ্রহ করে ছোট ছোট বা পারিবারিক খামার স্থাপনের সুযোগ রয়েছে ।
১৯৭৭ সনে রাঙ্গামাটি শহরের আসামবস্তিতে '' হাঁস প্রজনন খামার, কাপ্তাই '' স্থাপিত হয় এবং ১৯৮২ সনে এ খামারটি '' সরকারী হাস-মুরগী খামার, রাঙ্গামাটি ’’ নামে রুপান্তরিত হয়েছে । ১৯৯৩ সনের ২১ শে নভেম্বর ড় খামারটি রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের ব্যবস্থাপনায় ও নিয়ন্ত্রণে হস্থান্তর করা হয়। এ খামারে ১০ টি হাস-মুরগী শেড আছে যার আয়তন ১১৮২ বর্গমিটার। এলাকার হাঁস-মুরগী উন্নয়নের জন্য এ খামারে, প্রতি বছর ৬০ থেকে ৭০ হাজার হাস-মুরগীর বাচ্চা পালন করে স্বল্পমূল্যে বিক্রি করা হয় । আঞ্চলিক হাস-মুরগী খামার চট্টগ্রাম হতে একদিনের মুরগীর বাচ্চা এবং কেন্দ্রীয় হাস-মুরগীর খামার, নারায়ণগঞ্জ হতে একদিনের হাঁসের বাচ্চা এ খামারে সরবরাহ করা হয় । এ খামারে এ সমস্ত বাচ্চা প্রতিপালন করে স্বল্পমূল্যে বিক্রি করা হয় ।
জনবলঃ ২ জন কর্মকরতা এবং ১৪ জন কর্মচারী নিয়ে সরকারী হাস-মুরগীর খামারের ব্যবস্থাপনা পরিচালিত হয়ে আসছে।
২) পিগ ফার্মঃ পার্বত্য চট্টগ্রামের অধিকাংশ জনগোষ্ঠী পাহাড়ী উপজাতীয় । কৃষি কাজের পাশিপাশি পশুপালন তাদের নিত্য নৈমিত্তিক কাজ । বিশেষ করে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও ব্যাক্তিগত শখ হিসেবে পশুপালনের কাজটি এরা বেছে নিয়েছে। অত্র এলাকার জনগণের প্রিয় খাদ্য শূকরের মাংস । শূকরের মাংস উত্পাদন খরচ কম , অল্প সময়ে বেশি উৎপাদন এবং সামাজিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এ মাংসের প্রচলন রয়েছে। এক কথায় যদি পাহাড়ী উপজাতীয় জনসাধারণের শূকরের মাংস মাথাপিছু উৎপাদন বৃদ্ধি পায় তাহলে তা জাতীয় মাংস উৎপাদনের হারের সহিত যোগ হবে ।
অত্র জেলায় প্রায় হাজার হাজার শূকর রয়েছে । কিন্তু তাদের জাত অনুন্নত । এমনকি তাদের পালন পদ্ধতি বিশেষ করে পারিবারিক ও বাণিজ্যিক ভাবে শূকর পালনের উপর কোন ধারণা নেই বললে চলে । তাই সরকার অত্র এলাকায় ১৯৮১ এং সনে এ পিগ ফার্মটি স্থাপন করেন । অনেক কিছু সীমাবদ্ধতা থাকা স্বত্ত্বেও এ খামারটি এখন পর্যন্ত পরিচালিত হচ্ছে । এ খামারের উন্নত জাতের শূকরের বাচ্চা নির্ধারিত মূল্যে জনসাধারণের নিকট বিক্রি করা হয় । এ গুলো নিয়ে তাঁরা তাদের শূকরের সাথে প্রতিপালন করে দেশি জাতকে উন্নত করে । তাছাড়া বিভিন্ন সময়ে চাহিদা অনুযায়ী নানাবিধ কারিগরী জ্ঞানপ্রদান করা হচ্ছে । আশা করা যাচ্ছে এতে জনসাধারণ বিভিন্ন উপায়ে শূকর পালনে উপকৃত হচ্ছেন ।

উল্ল্যখ্য , ১৯৯৩ সনের ২১ নভেম্বর জেলা পিগ ফার্মটি রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের নিয়ন্ত্রণে ও ব্যবস্থাপনায় ন্যস্ত করা হয় ।
জনবলঃ একজন কর্মকর্তা এবং ১১ জন কর্মচারী নিয়ে জেলা পিগ ফার্মটি পরিচালিত হয়ে আসছে ।


COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon