Wellcome to National Portal
রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮

ভৌগলিক অবস্থা ও প্রাস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য

বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্ত বরাবর উত্তরে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য থেকে দক্ষিণে মায়ানমারের আরাকান রাজ্য পর্যন্ত বিস্তৃত যে পার্বত্য ভূমি রয়েছে তা পার্বত্য চট্টগ্রাম নামে পরিচিত। ১৮৬০ সনে পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা গঠিত হয়। অতঃপর ১৯৮১ সনে বান্দরবান পার্বত্য জেলা এবং ১৯৮৩ সনে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা সৃষ্টি হলে পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান পার্বত্য জেলা এই তিনটি নতুন জেলায় রূপান্তরিত হয়। বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রামের ভৌগোলিক এলাকায় ও বাংলাদেশের দক্ষিণ পূর্ব প্রান্তে অব¯ি’ত রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার অব¯’ান ২২০২৭´এবং ২৩০৪৪´উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১০৫৬´এবং ৯২০৩৩´পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। এর উত্তর ও পূর্বে ভারতের মিজোরাম ও ত্রিপুরা রাজ্য, দক্ষিণে বান্দরবান পার্বত্য জেলা এবং পশ্চিমে খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রাম জেলা।
 
এ জেলার প্রকৃতি খুবই সুন্দর, মনোরম ও বৈচিত্রময়। এখানে রয়েছে অসংখ্য পাহাড়-পর্বত, অরণ্য, নদী এবং হ্রদ। জেলার মাঝখানে এবং রাঙ্গামাটি শহরের পাশে ৩৫৬ বর্গমাইল এলাকা বিস্তৃত কাপ্তাই হ্রদ এ জেলায় প্রাকৃতিক শোভাকে আরো আকর্ষণীয় ও মনোরম করেছে। জেলার পাঁচটি নদী হলো চেঙ্গী, মাইনী, কর্ণফুলী এবং রাইংখিয়ং।

শাসনিক ইউনিট
রাঙ্গামাটি জেলায় ১০টি উপজেলা, ৪৮টি ইউনিয়ন, ১৫৯টি মৌজা, ১৩৪৭টি গ্রাম এবং ২টি পৌরসভা রয়েছে। উপজেলাগুলি হলো রাঙ্গামাটি সদর, কাপ্তাই, কাউখালী, রাজস্থলী, বিলাইছড়ি, লংগদু, নানিয়ারচর, জুরাছড়ি, বরকল এবং বাঘাইছড়ি। প্রত্যেক উপজেলায় একটি করে পুলিশী থানা থাকলেও চন্দ্রঘোণায় অতিরিক্ত একটি থানা রয়েছে। ১৫৯টি মৌজার মধ্যে হেডম্যান আছেন ১৫৫জন এবং কারবারী আছেন ১০৩০জন। 
  
আয়তন, জনসংখ্যা ও শিক্ষা   
এ জেলার মোট আয়তন ৬,১১৬.১৩ বর্গ কিলোমিটার এবং ২০০১ সনের আদমশুমারী অনুসারে মোট জনসংখ্যা ৫,২৫,১০০ জন। উপজাতীয় ২,৮৮,০৭৭ জন এবং অউপজাতীয় ২,৩৭,০২৩ জন। মোট জনসংখ্যার ২,৮৭,০৬০ জন পুরুষ এবং ২,৩৮,০৪০ জন নারী। জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৮৬জন। জেলার মোট শিক্ষিতের হার ৪১.৮১% (সেন্সাস ২০০১)।

উপজাতীয় সংখ্যা
এ জেলায় বাঙালিসহ ৭টি উপজাতি বসবাস করে। বসবাসরত উপজাতিগুলো হলো - চাকমা, মারমা, তন্চঙ্গ্যা, ত্রিপুরা, পাংখো, লুসাই এবং খিয়াং।

আর্থ-সামাজিক অবস্থা
এ জেলার অধিকাংশ মানুষের পেশা হলো কৃষি। উপজাতীয়দের একটি বৃহৎ অংশ ঐতিহ্যবাহী জুমচাষের সঙ্গে যুক্ত। অন্যান্যরা বন থেকে কাঠ সংগ্রহ, মাছধরা, ছোটখাটো ব্যবসা, গবাদিপশু এবং হাঁস-মুরগী পালন করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। বর্তমানে শিক্ষিতদের একটি বৃহৎ অংশ সরকারি চাকরী এবং বেসরকারি চাকরীতে যোগ দিচ্ছে।