রাঙ্গামাটি জেলায় সর্বমোট ৬টি হর্টিকালচার সেন্টার রয়েছে। ২০০৭ সনের ২২ আগষ্ট ৬টি হর্টিকালচার সেন্টার রাঙ্গামাতি পার্বত্য জেলা পরিষদে হস্তান্তরিত হয়। এই ৬টি হর্টিকালচার সেন্টারগুলি হলো- সদরের বালুখালী, নানিয়ারচরের চেঙ্গী, কাপ্তাই, লংগদু এবং বনরুপা হর্টিকালচার সেন্টার। এই সেন্টারগুলির কার্যাবলি নিম্নরুপঃ
. কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ ও কৃষকদের চাহিদা মোতাবেক প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান।
. দেশে ও বহির্বিশ্বে উদ্ভাবিত উন্নত ও আধুনিক জাতের উদ্যানতাত্ত্বিক ফসলের মাতৃগাছ অত্র ফার্মে প্রতিপালন, সংরক্ষণ এবং এর বংশ বৃদ্ধির মাধ্যমে তা স্থানীয় জনগনের জন্য সহজলভ্যকরণ।
. ফলজ, বনজ,ঔষধি, ফুল, মসলা ও শাক-সবজী ফসল চাষাবাদের স্থানীয় আধুনিক ও প্রয়োগিক কলা-কৌশল মাঠ পর্যায়ে প্রদর্শন।
. বসতবাড়ীর আঙ্গিনায় মিশ্র ফল বাগান এবং বাণিজ্যিক ফল বাগান সৃজনে কৃষকদেরকে কারিগরী পরামর্শ ও প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান।
. হাতের কাছেই সুলভমূল্যে সঠিক মান সম্পন্ন ও হাইব্রিড জাতের রোগমুক্ত চারা/কলম/বীজ প্রাপ্তির নিশ্চয়তা প্রদান। নিজস্ব নার্সারী ফার্ম স্থাপনে কৃষকদেরকে কারিগরী, অর্থনৈতিক ও প্রয়োগিক পরামর্শ প্রদান।
. জণগনের পুষ্টি সচেতনতা বৃদ্ধিকরণ ও খাদ্য নিরাপত্তা জোরদারকরণে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান ।
. ক্ষতিকারক ও উপকারী পোকামাকড় সনাক্তকরণ এবং পোকামাকড় ও বিবিধ রোগবালাই দমনে আগাম সতর্কতা, আইপিএম পদ্ধতিসহ অন্যান্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে কৃষকদেরকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান ।
. স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে শিক্ষা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদের সাথে পরিচিতিকরন।
. কৃষিজ ও বিভিন্ন উদ্যানতাত্বিক ফসলের উৎপাদন, সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরনের কলা-কৌশল সম্বন্ধে কৃষকদেরকে পরামর্শ প্রদান।
. সামাজিক বনায়নের মাধ্যমে গ্রীণ হাউজ ইফেক্ট হ্রাসকরণ এবং প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বর্ধনসহ পরিবেশের সার্বিক উন্নয়ন সাধন।
. স্থানীয় জনগণকে কৃষিজ আয়-বর্ধনমূলক কর্মকান্ড সম্পর্কে সচেতনকরন এবং সারা বছর স্ব-কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনসহ দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে আগ্রণী ভুমিকা পালন।